** কিরন শংকর রায় (১৮৯১-১৯৪৯)** :
শিবালয় উপজেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কিরন শংকর রায় অন্যতম। তিনি মানিকগঞ্জ জেলাধীন শিবালয় উপজেলার তেওতা রাজ পরিবারের তরুন বংশধর ছিলেন। তাঁর বাবার নাম হরশংকর রায় চৌধুরী। তিনি তেওতা একাডেমী হতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন এবং কোলকাতা হিন্দু স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি ১৯৩৭ সালে বিধানসভার নেতা নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি বিধানসভার সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ১৯৪৮ সালের ৪ মার্চ ডা: বি,সি রয় এর পশ্চিমবঙ্গ মন্ত্রীসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন। একজন রাজনীতিবিদ হয়েও বাংলা সাহিত্যে কিরন শংকর রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছন। তিনি প্রমথ চৌধুরী কর্তৃক পরিচালিত 'সবুজপত্র' জোট ও সুকুমার রয় এর 'মানডে ক্লাব' এর বিশিষ্ট সদস্য ছিলেন। তিনি সপ্তপর্ণা নামে ছোটগল্পসমগ্র প্রকাশ করেন। কিরন শংকর রায় ১৯৪৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী দেহত্যাগ করেন।
** প্রমীলা নজরুল (১৯০৮-১৯৬২)** :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর সহধর্মীনী প্রমীলা নজরুল। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম আশালতা সেন, ডাক নাম দোলনা বা দুলি। বসন্ত কুমার ও গিরিবালা দম্পতির কন্যা প্রমীলার জন্ম ১৯০৮ সালের ১০ মে শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামে। প্রমীলা ১২/১৩ বছর বয়সে বাবা বসন্ত কুমার মারা গেলে মা গিরিবালা প্রমীলাকে নিয়ে তার ছোট কাকা ইন্দ্র কুমার সেনের কাছে কুমিল্লা চলে যান। কুমিল্লাতেই নজরুলের সাথে প্রমীলার ২৫ এপ্রিল, ১৯২৪ সালে বিয়ে হয়। সহধর্মীনী প্রমীলার প্রেম ও সান্নিধ্য নজরুলের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। নজরুল প্রেমের কবি, তারুন্যের কবি, গানের কবি, নারীমুক্তি ও নারী-পুরুষ সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার কবি যার মূলে রয়েছে প্রমীলার সাথে তাঁর প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা, সুখ-দু:খ, সংকট-সংগ্রাম এবং বিদ্রোহ বিপ্লবের উপখ্যান। প্রমীলা ১৯৬২ সালে মৃত্যু বরন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস