বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান ১৯৫৩ সালের ০৫ মার্চ মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার বাউলীকান্দা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল মজিদ খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বরেণ্য রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার মাতার নাম জনাব মাহমুদা বেগম। বর্তমানে তিনি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, শিবালয় উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া, তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে কোম্পানী কমান্ডার, শহীদ মাহফুজ কোম্পানী, ঢাকা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল, সাব সেক্টর-২ এ কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষা জীবন:
তিনি শিবালয় উপজেলার মালুচী উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস এস সি, জগন্নাথ কলেজ হতে এইচ.এস.সি এবং পরবর্তীতে একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হতে এলএল.বি(অনার্স্) ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
পেশাগত ও রাজনৈতিক জীবন:
রাজনীতিতে অংশগ্রহণ:
ছাত্র অবস্থায় থেকেই তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে একনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে হরতাল, ধর্মঘটসহ সকল রাজনৈতিক কর্ম্ কান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বহুবার সন্মুখ ও গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৭২ সালে জগন্নাথ কলেজের শাহাবুদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা জনাব শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির সান্নিধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নৃসংশভাবে হত্যার প্রতিবাদ করায় তৎকালীন সরকারের রোষানলে পরে অন্যান্যদের সাথে ভারতের কোলকাতায় অবস্থান করেন এবং সেখানে তিন মাস অবস্থান করে পরবর্তীতে জার্মানীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। জিয়াউর রহমান নিহত ও ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশে ফিরে আসেন।তিনি ২০০৩ সালে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্য্করী সদস্য মনোনীত হন।
সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ:
পারিবারিক পরিচিতি:
পিতা: বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মজিদ খান
পেশা/পরিচিতি: স্বাধীনতা পরবর্তী শিবালয় থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং সুদীর্ঘ্কাল আরুয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মাতা: মরহুমা মাহমুদা বেগম।
পেশা/পরিচিতি: ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, ভুলক্রমে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হননি।
স্ত্রী : সুলতানা রহমান খান।
পেশা/পরিচিতি: গৃহিণী
বড় ভাই: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ খান
পেশা/পরিচিতি: সাবেক সংসদ সদস্য, মানিকগঞ্জ-২ (স্বতন্ত্র)
মুক্তিযুদ্ধকালীন উপ-আঞ্চলিক অধিনায়ক, ঢাকা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল সাব সেক্টর-২, সেক্টর-২।
মেজো ভাই: বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুর রহিম খান(আলো)
পেশা/পরিচিতি: সাবেক কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শিবালয় উপজেলা কমান্ড।
ছোট ভাই: বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সাইফুর রহমান খান (সুলতান)
পেশা/পরিচিতি: পরপর ০৪ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, শিবালয়।
দ্বিতীয় ছোট ভাই: বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান খান (টুলু)
পেশা/পরিচিতি: অতিরিক্ত প্রধান কর কর্ম্কর্তা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
বড় বোন: বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারা বেগম
পেশা/পরিচিতি:
বড় বোনের স্বামী: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া
পেশা/পরিচিতি:
পেশা/পরিচিতি: সাবেক যুগ্মসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
দ্বিতীয় বোন: বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ারা বেগম
দ্বিতীয় বোনের স্বামী: বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এ এইচ এম আব্দুল মাবুদ
পেশা/পরিচিতি: সাবেক উপ-পরিচালক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)।
সন্তান:
বড় ছেলে : ফাহিম রহমান খান (রনি)
পেশা/পরিচিতি: সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
সাবেক সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, মানিকগঞ্জ জেলা শাখা।
ছোট ছেলে: ফুয়াদ রহমান খান (হৃদয়)
পেশা/পরিচিতি: সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি
সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
ছোট ভাইয়ের ছেলে: মোনায়েম মুনতাকিম রহমান খান
পেশা/পরিচিতি: নির্বাচিত চেয়ারম্যান, আরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ, শিবালয়, মানিকগঞ্জ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস